🌸 ফুলের ভাষায় প্রেম
রোদ্দুরটা তখন নরম হয়ে আসছে। বিকেলের হাওয়া যেন লাজুক কিশোরীর মতো গাছপালার ফাঁক গলে মাঠের দিকে ভেসে যাচ্ছে। গ্রামের সেই ছোট্ট পথ ধরে হাঁটছে রুদ্র। হাতে একটা কাগজের ঠোঙা—ওর নিজের বাগানের লাল-সাদা গোলাপ।
আজ রুদ্রের মনটা অন্যরকম।
কারণ আজ সে প্রথমবার—প্রথমবার!—তার মনের কথা বলতে যাচ্ছে অনন্যাকে।
অনন্যা গ্রামের স্কুলে পড়ায়। হাসলে চোখদুটো চিকচিক করে ওঠে। একদিন স্কুল থেকে ফেরার পথে রুদ্র তাকে একজোড়া বেলী ফুল দিয়েছিল। অনন্যা শুধু হেসে বলেছিল,
“ফুল দিলে কি সবাই খুশি হয়, রুদ্র?”
ওই একটুকু কথাতেই রুদ্রের হৃদয়ে অদ্ভুত একটা আলো নেমে এসেছিল।
আজ তাই গোলাপ।
স্কুল ছুটি হয়ে গেছে। অনন্যা বাড়ির সামনে শিউলি গাছের নিচে দাঁড়িয়ে শিউলির গন্ধের মতোই নরম হয়ে কিছু একটা ভাবছে। রুদ্র এগিয়ে গেল।
গলার ভেতর শব্দ আটকে আসছে, তবু বলল—
“তোমার জন্য ফুল এনেছি… ইচ্ছে হলে রেখো।”
অনন্যা অবাক হয়ে তাকাল।
“কেন?”
রুদ্র মাথা নিচু করে বলল—
“কারণ… তোমাকে দেখলে মনে হয়, তুমি হাসলে পুরো পৃথিবীটা ফুলে ভরে যায়।”
চুপচাপ কয়েক মুহূর্ত। দূরে একটা ময়না পাখি ডাকল।
তারপর অনন্যা ধীরে ধীরে রুদ্রের হাত থেকে গোলাপগুলো নিল।
নরম গলায় বলল—
“রুদ্র… ফুল দিলে কি সবাই খুশি হয়, মনে আছে?”
“হুম,” রুদ্র বলল, “তাই তো তোমাকে দিচ্ছি।”
অনন্যা হেসে বলল—
“তাহলে আজ আমি খুশিই থাকতে চাই।”
রুদ্র প্রথমবার দেখল, লজ্জা পেয়ে অনন্যার গালে হালকা গোলাপি আভা উঠেছে—ঠিক সেই লাল গোলাপের মতো।
আর শিউলি গাছটার নিচে দু’জনের মন ভেসে গেল ফুলের গন্ধে ভরা নতুন একটি গল্পের দিকে।
আপনি চাইলে আমি আরও দীর্ঘ গল্প, নাটকীয় গল্প, কিশোর রোমান্স, দাম্পত্য রোমান্স—যে ধরনের চান—তৈরি করে দিতে পারি। 🌸✨
.jpg)
0 Comments